পলাশীর যুদ্ধ

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ইংরেজরা বুঝিতে পারিলেন , যাবৎ এই দুর্দান্ত বালক বাঙ্গালার সিংহাসনে অধিরূঢ় থাকিবেক , তাবৎ কোন প্রকারে ভদ্রস্থতা নাই । অতএব , তাহারা কি উপায়ে নিরাপদ হইতে পারেন , মনে মনে এ বিষয়ের আন্দোলন করিতেছেন ,
এমন সময়ে দিল্লির সম্রাটের কোষাধ্যক্ষ পরাক্রান্ত শেঠবংশীয়েরা , নবাবের । সর্বাধিকারী রাজা রায়দুর্লভ , সৈন্যদিগের ধনাধ্যক্ষ ও সেনাপতি মীরজাফর এবং উমিচাদ ও যােজা রাজীদ নামক দুইজন ঐশ্বর্যশালী বণিক ইত্যাদি কতিপয় প্রধান ব্যক্তি তাহাদের নিকট এক পত্র প্রেরণ করিলেন । তাহারা , সিরাজদ্দৌল্লাকে রাজ্যভ্রষ্ট করিবার নিমিত্ত , প্রাণ পর্যন্ত পণ করিয়া , ইঙ্গরেজদিগের নিকট সাহায্য প্রার্থনায় গােপনে পত্র প্রেরণ করেন । ইঙ্গরেজরা বিবেচনা করিলেন , আমরা সাহায্য না করিলেও এই রাজবিপ্লব ঘটিবেক ; সাহায্য করিলে , আমাদের অনেক উপকারের সম্ভাবনা আছে । কিন্তু তৎকালের কৌন্সিলের মেম্বাররা প্রায় সকলেই ভীরুস্বভাব ছিলেন ; এমন গুরুতর বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিতে তাহাদের সাহস হইল না । কিন্তু ক্লাইব অকুতােভয় ও অত্যন্ত সাহসী ছিলেন । তিনি উপস্থিত প্রস্তাবে সম্মত হইতে , কোনওক্রমে , পরখ হইলেন না । ক্লাইব , এপ্রিল - মে দুই মাস মুর্শিদাবাদের রেসিডেন্ট ওয়াটস সাহেব দ্বারা , নবাবের প্রধান প্রধান কর্মচারীদিগের সহিত মন্ত্রণা করিতে লাগিলেন । এইরূপে সমুদয় স্থিরীকৃত হইলে , ক্লাইব সিরাজদ্দৌল্লাকে এই মর্মে পত্র লিখিলেন যে , আপনি ইঙ্গরেজদিগের অনেক অনিষ্ট করিয়াছেন , সন্ধিপত্রের নিয়ম লঙ্ঘন করিয়াছেন , যে যে ক্ষতিপূরণ স্বীকার করিয়াছিলেন , তাহা করেন নাই এবং ইন্সরেজদিগকে বাঙ্গালা হইতে তাড়াইয়া দিবার নিমিত্ত , ফরাসীদিগকে আহ্বান করিয়াছেন । অতএব , আমি স্বয়ং মুর্শিদাবাদে যাইতেছি , আপনকার সভার প্রধান প্রধান লােকদিগের উপর ভর দিব , তঁাহাৱা সকল বিষয়ের মীমাংসা করিয়া দিবেন । নবাব , এই পত্রের লিখনভঙ্গি দেখিয়া এবং ক্লাইৰ স্বয়ং আসিতেছেন ইহা পাঠ করিয়া অতিশয় ব্যাকুল হইলেন এবং ইন্সরেজদিগের সহিত যুদ্ধ অপরিহরণীয় স্থির করিয়া , অবিলম্বে সৈন্য সংগ্রহপূর্বক , কলিকাতা অভিমুখে যাত্রা করিলেন । ক্লাইবও , ১৭৫৭ খ্রীঃ অব্দের জুন মাসের আরম্ভেই , আপন সৈন্য লইয়া প্রস্থান আক্রমণ ও অধিকার করিলেন । করিলেন । তিনি ১৭ ই জুন কাটোয়াতে উপস্থিত হইলেন এবং পরদিন তথাকার দুর্গ । ১৯ - এ জুন , ঘােরতর বর্ষা আরম্ভ হইল । ক্লাহ , নদী পার হইয়া নবাবের সহিত যুদ্ধ করি , কি ফিরিয়া যাই , মনে মনে এই আন্দোলন করিতে লাগিলেন । পরিশেষে , অভিনিবেশপূর্বক বিবেচনা করিয়া ভাগ্যে যাহা থাকে ভাবিয়া , যুদ্ধপক্ষই অবলম্বন করিলেন । তিনি স্থির বুঝিয়াছিলেন , যদি এতদূর আসিয়া , এখন ফিরিয়া যাই , তাহা হইলে , বাঙ্গালাতে ইন্সরেজদিগের অভ্যুদয়ের আশা একেবারে উচ্ছিন্ন হইবেক । ২২ - এ জুন , সূর্যোদয় কালে , সৈন্যসকল গঙ্গা পার হইতে আরম্ভ করিল । তাহারা , অবিশ্রান্ত গমন করিয়া , রাত্রি দুই প্রহর একটার সময় , পলাশীর বাগানে
সাহায্য উপস্থিত হইল । প্রভাত হইবামাত্র , যুদ্ধ আরম্ভ হইল । ক্লাইব , উৎকণ্ঠিত চিত্তে , মীরজাফরের ও তদীয় সৈন্যের আগমন প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন , কিন্তু তখন পর্যন্ত তাহার ও তদীয় সৈন্যের কোনও চিহ্ন দেখা গেল না । যুদ্ধক্ষেত্রে নবাবের পঞ্চদশ সহস্র অশ্বারােহ ও পঞ্চত্রিংশৎ সহস্র পদাতিক সৈন্য উপস্থিত হইয়াছিল । কিন্তু তিনি স্বয়ং চাটুকারবর্গে বেষ্টিত হইয়া , সকলের পশ্চাদভাগে তাবুর মধ্যে ছিলেন । মীরমদন নামক এক সেনাপতি যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । মীরজাফর , আত্মসৈন্য সহিত , তথায় উপস্থিত ছিলেন , কিন্তু যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়েন নাই । বেলা প্রায় দুই প্রহরের সময় কামানের গােলা লাগিয়া , সেনাপতি মীরমদনের দুই পা উড়িয়া গেল । তিনি তৎক্ষণাৎ নবাবের তাবুতে নীত হইলেন এবং তাহার সম্মুখেই প্রাণত্যাগ করিলেন । তখন , নবাব মীরজাফরকে ডাকাইয়া আনিলেন , এবং তাহার চরণে স্বীয় উষ্ণীষ স্থাপিত করিয়া , অতিশয় দীনতা প্রদর্শনপূর্বক , এই প্রার্থনা করিতে লাগিলেন যে , অন্ততঃ আমার মাতামহের অনুরােধে , আমার অপরাধ ক্ষমা করিয়া , এই বিষম বিপদের সময় সহায়তা কর । জাফর অঙ্গীকার করিলেন , আমি আত্মধর্ম প্রতিপালন করিব , এবং তাহার প্রমাণ স্বরূপ , নবাবকে পরামর্শ দিলেন , অদ্য বেলা অধিক হইয়াছে , সৈন্যসকল ফিরাইয়া আনুন । যদি জগদীশ্বর কৃপা করেন , কলা আমরা সমুদয় সৈন্য একত্র করিয়া , যুদ্ধার্থে প্রস্তুত হইব । তদনুসারে নবাব সেনাপতিদিগকে যুদ্ধ হইতে নিবৃত্ত হইবার আজ্ঞা পাঠাইলেন । নবাবের অপর সেনাপতি মােহনলাল ইঙ্গরেজদিগের সহিত ঘােরতর যুদ্ধ করিতেছিলেন ; কিন্তু নবাবের এই আজ্ঞা পাইয়া নিতান্ত অনিচ্ছাপূর্বক নিবৃত্ত হইলেন । তিনি অকস্মাৎ ক্ষান্ত হওয়াতে , সৈন্যদিগের উৎসাহ ভঙ্গ হইল । তাহারা , ভঙ্গ দিয়া , চারিদিকে পলায়ন করিতে আরম্ভ করিল । সুতরাং , অনায়াসে ক্লাইবের সম্পূর্ণ জয়লাভ হইল ।। তদনন্তর , সিরাজদ্দৌল্লা , এক উষ্ট্রে আরােহণ করিয়া , দুই সহস্র অশ্বারােহ । সমভিব্যাহারে , সমস্ত রাত্রি গমনকরতঃ , পরদিন বেলা ৮ টার সময় , মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হইলেন এবং উপস্থিত হইয়াই আপনার প্রধান প্রধান ভৃত্য ও অমাত্যবর্গকে সন্নিধানে আসিতে আজ্ঞা করিলেন । কিন্তু তাহারা সকলেই স্ব স্ব আলয়ে প্রস্থান করিল । অন্যের কথা দূরে থাকুক , সে সময়ে , তাহার শ্বশুর পর্যন্ত তাহাকে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । নবাব , সমস্ত দিন একাকী আপন প্রাসাদে কালযাপন করিলেন । পরিশেষে , নিতান্ত হতাশ হইয়া , রাত্রি তিনটার সময়ে মহিষীগণ ও কতিপয় প্রিয়পাত্র সমভিব্যাহারে করিয়া , শকটারােহণপূর্বক , ভগবানগােলায় পলায়ন করিলেন । -যুদ্ধ সমাপ্তির পর , মীরজাফর , ক্লাইবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া , তাহার রণজয় নিমিত্ত সভাজনও হর্ষ প্রদর্শন করিলেন । অনন্তর , উভয়ে একত্র হইয়া মুর্শিদাবাদে সাহিত্য চলিলেন । তথায় উপস্থিত হইয়া , মীরজাফর রাজকীয় প্রাসাদ অধিকার রিলেন । রাজধানীর প্রধান প্রধান লােক এবং প্রধান প্রধান রাজকীয় কর্মচারী সমবেত হইলেন । অবিলম্বে এক দরবার হইল । ক্লাইব , আসন হইতে গাত্রোখান করিয়া , মীরজাফরের কর গ্রহণপূর্বক সিংহাসনে বসাইয়া তাহাকে বাঙ্গালা , বিহার , উড়িষ্যার নবাব বলিয়া সম্ভাষণ ও বন্দনা করিলেন । এদিকে , সিরাজদ্দৌলা , ভগবানগােলা হইতে রাজমহলে পৌঁছিয়া , আপন স্ত্রী ও কন্যার জন্য পাক করিবার নিমিত্ত , এক ফকিরের কুটিরে উপস্থিত হইলেন । পূর্বে ঐ ফকিরের উপর তিনি অনেক অত্যাচার করিয়াছিলেন । এক্ষণে ঐ ব্যক্তি তাহার অনুসন্ধানকারীদিগকে তৎক্ষণাৎ তাহার পঁহুছ সংবাদ দিলে , তাহারা আসিয়া তাহাকে রুদ্ধ করিল । নবাব অতি দীন বাক্যে , তাহাদের নিকট বিনয় করিতে লাগিলেন । কিন্তু তাহারা , তদীয় বিনয়বাক্য শ্রবণে বধির হইয়া , তাহার সমস্ত স্বর্ণ ও রত্ন লুটিয়া লইল , এবং তাহাকে মুর্শিদাবাদে প্রত্যানয়ন করিল । যকালে তিনি রাজধানীতে আনীত হইলেন , তখন মীরজাফর , অধিক মাত্রায় অহিফেন সেবন করিয়া , তন্দ্রাবশে ছিলেন ; তাহার পুত্র পাপাত্মা মীরণ , সিরাজদ্দৌলার উপস্থিতি সংবাদ শুনিয়া তাহাকে আপন আলয়ের সন্নিধানে রুদ্ধ করিতে আজ্ঞা দিল ।... মহম্মদী বেগ নামক এক ব্যক্তি আলিবর্দি খার নিকট প্রতিপালিত হইয়াছিল ; পরিশেষে সেই দুরাত্মাই এই নিষ্ঠুর ব্যাপারের সমাধানের ভার গ্রহণ করিল । দুরাচার মহম্মদী বেগ তরবারি প্রহার দ্বারা তাহার মস্তক ছেদন করিল । ( সংক্ষেপিত )

লীনতাপ কাকে বলে ? এর একক কী?

একক ভরের কোনো পদার্থের উষ্ণতা কোনো পরিবর্তন না করে শুধুমাত্র অবস্থার পরিবর্তন করতে পদার্থে যে পরিমাণ তাপ প্রয়োগ বা নিষ্কাশন করতে হয়, সেই পরিমাণ তাপকে ওই পদার্থের ওই অবস্থায় পরিবর্তনের লীনতাপ বলে।




সি.জি.এস. পদ্ধতিতে লীন তাপের একক ক্যালোরি/গ্রাম
এস .আই. পদ্ধতিতে লীন তাপের একক জুল/কেজি

রাম ভরতের মিলন কবিতার মূলভাব

 

রাম লক্ষন শত্রুঘ্ন ও ভরতের পরিচয়:

দশরথ ছিলেন কোশল রাজ্যের রাজা, তার রাজধানী ছিল অযোধ্যা নগরীতে। তার তিন স্ত্রী ছিল  কৌশল্যা, কৈকেয়ী ও সুমিত্রা। দীর্ঘদিন অপুত্রক অবস্থায় থাকার কারণে পুত্রকামনায় রাজা দশরথ পুত্র-কামেষ্টী বা পুত্রেষ্টী যজ্ঞের আয়োজন করেন। এরপরই কৌশল্যার গর্ভে রাম, কৈকেয়ীর গর্ভে ভরত এবং সুমিত্রার গর্ভে লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্ন নামে দুই যমজ পুত্রের জন্ম হয়। 

সীতার পরিচয় :

এই সময়ে মিথিলার রাজা ছিলেন জনক। একদিন ভূমিকর্ষণ করতে গিয়ে রাজা লাঙলের রেখায় একটি শিশুকন্যাকে কুড়িয়ে পান। আনন্দে অভিভূত রাজা এই কন্যাটিকে ঈশ্বরের দান মনে করে লালন পালন করতে থাকেন। তিনি এই কন্যার নামকরণ করেন সীতা। কারণ, সংস্কৃতে লাঙলের কর্ষণরেখাকে সীতা বলা হয়।সীতা বিবাহযোগ্যা হলে রাজা তার বিবাহের জন্য স্বয়ম্বরের আয়োজন করেন। শিব রাজা জনককে একটি ধনুক উপহার দিয়েছিলেন। রাজা পণ রাখেন যিনি এই ধনুকে গুণ সংযোজন করতে পারবেন, তাকেই অপরূপা সীতা পতিত্বে বরণ করবে। ঋষি বিশ্বামিত্র রাম ও লক্ষ্মণকে নিয়ে সেই স্বয়ম্বর সভায় উপস্থিত হলেন। কেবলমাত্র রামই সেই ধনুকে গুণ পরিয়ে তা ভঙ্গ করতে সমর্থ হলেন। রামের সঙ্গে সীতার বিবাহ হল। শুধু তাই নয়, দশরথের অন্যান্য পুত্রদের সঙ্গে জনকে অন্যান্য কন্যা ও ভাগিনেয়ীদের বিবাহ সম্পন্ন হল। মিথিলায় মহাসমারোহে বিবাহ উৎসব উদযাপিত হল। অতঃপর নববিবাহিত দম্পতি চতুষ্টয় অযোধ্যা নগরে প্রত্যাবর্তন করলেন।




রাম ভরতের মিলন: 

রাম ও সীতার বিবাহের বারো বছর পর বৃদ্ধ রাজা দশরথ রামকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। কোশল রাজসভায় তার ইচ্ছাকে সকলেই সমর্থন করল।
কিন্তু উক্ত অনুষ্ঠানের পূর্বসন্ধ্যায় দাসী মন্থরার কুমন্ত্রণায় কৈকেয়ীর ঈর্ষা জাগরিত হয়ে উঠল। বহুকাল পূর্বে রাজা দশরথ কৈকেয়ীকে দুটি বর দিতে প্রতিশ্রুত হয়েছিলেন। তার সুযোগ কৈকেয়ী রাজার কাছে দাবি করেন যে রামকে চোদ্দো বছরের জন্য বনবাসে পাঠাতে হবে এবং তার স্থলে ভরতকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করতে হবে। বৃদ্ধ ও হতাশ রাজা নিজ প্রতিজ্ঞা রক্ষার দায়েই কৈকেয়ীকে প্রার্থিত বরদুটি প্রদান করতে সম্মত হলেন। রাম পিতার আজ্ঞা স্বেচ্ছায় ও শান্তচিত্তে মেনে নিলেন।পত্নী সীতা ও ভ্রাতা লক্ষ্মণ তার সঙ্গী হলেন। রাম সীতাকে নিরস্ত করতে গেলে সীতা উত্তর দিলেন, "যে বনে তুমি বাস করবে, সে বনই আমার নিকট অযোধ্যা; কিন্তু যে অযোধ্যায় তুমি নেই, সে অযোধ্যা আমার নিকট দুঃসহ নরক।"রামের প্রস্থানের পর পুত্রশোকে কাতর হয়ে রাজা দশরথ দেহত্যাগ করলেন। এই ঘটনার সময় ভরত ছিলেন তার মাতুলালয় নন্দীগ্রামে। সব শুনে ভরত সত্বর অযোধ্যায় ফিরে এলেন। তিনি মায়ের কুটিল চক্রান্তে পাওয়া রাজপদ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন। রামকে খুঁজতে খুঁজতে তিনি উপস্থিত হলেন বনে। তিনি রামকে অযোধ্যায় ফিরে রাজপদ গ্রহণের অনুরোধ জানালেন। কিন্তু পিতার আজ্ঞার বিরুদ্ধাচারণ করে চোদ্দো বছর কাল উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনে অসম্মত হলেন। ভরত তখন রামের খড়মদুটি চেয়ে নিলেন। রাজ্যে ফিরে সেই খড়মদুটিই সিংহাসনে স্থাপন করে রামের নামে রাজ্যশাসন করতে লাগলেন তিনি।

খেলনার দোকানে তুমি ১ টাকায় ৪০ টি মাছ ৩ টাকায় ১ টি বাঁদর ৫ টাকায় ১ টি বাঘ কিনতে পারবে তবে ১০০ টাকায় ১০০ টি খেলনা কিনতে গেলে কোন খেলনা কতগুলি করে কিনবে?

 খেলনার দোকানে তুমি ১ টাকায় ৪০ টি মাছ ৩ টাকায় ১ টি বাঁদর ৫ টাকায় ১ টি বাঘ কিনতে পারবে তবে ১০০ টাকায় ১০০ টি খেলনা কিনতে গেলে কোন খেলনা কতগুলি করে কিনবে?

________________________________
100 টাকায় 100 টি খেলনা কিনতে গেলে

যেহেতু 1 টাকায় 40 টি মাছ
3 টাকায় 1 টি বাঁদর
ও 5 টাকায় 1 টি বাঘ কেনা যায় ।
তাহলে
2 টাকায় 80 টি মাছ
3 টাকায় 1 টি বাঁদর
95 টাকায় 19 টি বাঘ
__________________
100 টাকায় 100 টি খেলনা

WhatsApp Video Content 10/09/2020

 

সকালে হাঁটে 548 পা
বিকেলে হাঁটে +445 পা
____________________
এক দিনে সবমোট হাঁটে 993 পা


সে একদিনে 900 পা থেকে 93 পা বেশি হাঁটে ।

গাধা নুন নদী বাজার কাহিনী ( গল্প)

একগ্রামে এক নুনওয়ালা ছিল তার ছিল একটি গাধা আর ওই গাধাটা ছিল আলস ও ফাকিবাজ সে কাজ করতে চাইতো না । নুনওয়ালা তাকে মেরে মেরে কাজ করাত । প্রতিদিন নুনওয়ালা গাধার পিঠে করে নুন নিয়ে আসত বাড়িতে পাশের একটি বাজার থেকে । বাজার থেকে নুন নিয়ে আসার পথে একটি নদী পার হতে লাগত একদিন গাধাটি নদীতে হঠাৎ কিছুটা জলে ডুবে যায় আর তার নুনের বস্তা গুলি ভিজে যায় আর নুন বস্তা নুন কিছুটা জলে মিশে যায়। যার কারণে বস্তা হালকা হয়ে যায় । আর সেখান থেকে গাধা ভাবে যে সে প্রতিদিন এই ভাবে ভান করবে । এবং সে বাকি দিনগুলোতে জলে পড়ার ভান করে বস্তাগুলি হালকা করে নেয় । এই সব ব্যাপারে নুনওয়ালা বুঝতে পেরে সে পরের দিন গাধার পিঠে তুলোর বস্তা তুলে দেয়। তার গাধা ভাবে যে আজ তো প্রথমেই হালকা রয়েছে বস্তা টা তাহলে তো সে যদি নদীতে আরও হালকা করে নেয় তাহলে বস্তা কোনো ভর ওই থাকবে না। । আর সে নদী পার হওয়ার সময় আবার একই ভান করে পড়ে যায় । আর তুলেগুলো জল শোষে নেয় যার ফলে তুলোর বস্তা আরও ভারি হয় যায় । বস্তা টা ভারি হওয়াতে গাধার এই বস্তা টা বহন করতে খুব কষ্ট হয় । গাধা বহন করতে চাইছে না দেখে গাধা কে নুনওয়ালা পিটিয়ে নিয়ে যান । তারপর গাধা বুঝতে পারে যে এটা নিশ্চিত নুনওয়ালার কাজ । গাধা ভাবে যে সে আর এমন কাজ করবে না ।


নীতিকথা~ কোনো কাজ অবহেলা করা উচিত নয় ।
এবং কোনো কাজে ফাঁকি দেওয়া ঠিক নয় ।

WhatsApp Video Content 09/09/2020

 

উওর : ঘড়ির কাঁটা গুলি।

তোমাকে শুকিয়ে নিজে সে ভিজে?

উত্তর : টাওয়েল বা গামছা।
বেড়ে যদি যায় একবার/ কোনোভাবেই কমে না আর?

উত্তর : মানুষের বয়স।
সবাই তোমাকে ছেড়ে গেলেও সে যাবে না ছেড়ে/ চেষ্টা করে বলো দেখি, উত্তর কে পারে?

উত্তর : তোমার ছায়া।
তিনজন মোটা লোক কোনোমতে জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটা ছাতার নিচে। তবু, তারা কেউই ভিজে যায়নি। কীভাবে সম্ভব?



একগ্রামে এক নুনওয়ালা ছিল তার ছিল একটি গাধা আর ওই গাধাটা ছিল আলস ও ফাকিবাজ সে কাজ করতে চাইতো না । নুনওয়ালা তাকে মেরে মেরে কাজ করাত । প্রতিদিন নুনওয়ালা গাধার পিঠে করে নুন নিয়ে আসত বাড়িতে পাশের একটি বাজার থেকে । বাজার থেকে নুন নিয়ে আসার পথে একটি নদী পার হতে লাগত একদিন গাধাটি নদীতে হঠাৎ কিছুটা জলে ডুবে যায় আর তার নুনের বস্তা গুলি ভিজে যায় আর নুন বস্তা নুন কিছুটা জলে মিশে যায়। যার কারণে বস্তা হালকা হয়ে যায় । আর সেখান থেকে গাধা ভাবে যে সে প্রতিদিন এই ভাবে ভান করবে । এবং সে বাকি দিনগুলোতে জলে পড়ার ভান করে বস্তাগুলি হালকা করে নেয় । এই সব ব্যাপারে নুনওয়ালা বুঝতে পেরে সে পরের দিন গাধার পিঠে তুলোর বস্তা তুলে দেয়। তার গাধা ভাবে যে আজ তো প্রথমেই হালকা রয়েছে বস্তা টা তাহলে তো সে যদি নদীতে আরও হালকা করে নেয় তাহলে বস্তা কোনো ভর ওই থাকবে না। । আর সে নদী পার হওয়ার সময় আবার একই ভান করে পড়ে যায় । আর তুলেগুলো জল শোষে নেয় যার ফলে তুলোর বস্তা আরও ভারি হয় যায় । বস্তা টা ভারি হওয়াতে গাধার এই বস্তা টা বহন করতে খুব কষ্ট হয় । গাধা বহন করতে চাইছে না দেখে গাধা কে নুনওয়ালা পিটিয়ে নিয়ে যান । তারপর গাধা বুঝতে পারে যে এটা নিশ্চিত নুনওয়ালার কাজ । গাধা ভাবে যে সে আর এমন কাজ করবে না ।


নীতিকথা~ কোনো কাজ অবহেলা করা উচিত নয় ।
এবং কোনো কাজে ফাঁকি দেওয়া ঠিক নয় ।